ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় হামলায় আহত-৪, গৃহবধু অপহৃত

পেকুয়ায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে মিষ্টি মুখ

পেকুয়া প্রতিনিধিpekua,,

পেকুয়ায় প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থীকে মিষ্টি মুখ করালেন বিজয়ী প্রার্থী। জিএমসি স্কুল কেবিনেট নির্বাচনে দু’টি পদে আপন দু’ভাই-বোন বিজয়ী হয়েছেন। এতে আনন্দিত হয়েছেন বিজয়ী প্রার্থীর পিতা। ভোটারদের কৃতজ্ঞতা ও শুভেচ্ছা সুরুপ নির্বাচনের পাঁচ দিন পর বিদ্যালয়ে সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে মিষ্টি বিলি করেছেন পিতা। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পেকুয়া জিএমসি স্কুল ও আশরাফুল উলুম মাদ্রাসায় প্রায় চার হাজার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মাঝে এসব মিষ্টি বিলি করেছেন। গত ৬এপ্রিল পেকুয়ার অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্টান জিএমসি ইনষ্টিটিউশনে স্টুডেন্টস কেবিনেট নির্বাচন ২০১৭ অনুষ্টিত হয়। এ নির্বাচনে ৬ষ্ট শ্রেনী থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সাইমুন ছরওয়ার কাফি। ৭ম শ্রেনী থেকে বিজয়ী হয়েছেন কাফির বড় বোন তাহিয়া তাবাচ্ছুম তাহি। নির্বাচনে ভোটাররা সর্বাধিক ভোটে এ ভাই-বোনকে বিজয়ী করেছেন। তাদের পিতা কক্সবাজার জেলার বৃহত্তম বানিজ্যিক ভবন পেকুয়া বাজারের এস.ডি সিটি সেন্টারের মালিক ছরওয়ার উদ্দিন সন্তানদের বিজয়ী হওয়ার খুশিতে ভোটারদের কাছে বিপুল পরিমান মিষ্টিসহ দ্রব্যদি বিলি করেছেন। গতকাল জিএমসি স্কুলে মিষ্টি বিতরন করেছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ছরওয়ার উদ্দিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জিএমসির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জহির উদ্দিন, সহকারি শিক্ষক মারুফা দিদা, নুরুল হোসাইন, নুর মুহাম্মদ, অরবিন্দ দেব নাথ জাহাঙ্গীর আলম, হারুনুর রশিদ, জসিম উদ্দিন, সদর ইউপির সদস্য কাফি ও তাহির চাচা সাজ্জাত হোসাইন, আলমগীর, কৃষকলীগ নেতা আলমগীর প্রমুখ।

……………………………………………………

পেকুয়ায় হামলায় আহত-৪, গৃহবধু অপহৃত

পেকুয়া প্রতিনিধি

পেকুয়ায় সন্ত্রাসী হামলায় মহিলাসহ চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় ওই সন্ত্রাসীরা এক গৃহবধুকে অপহরন করেছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন। ঘটনার জের ধরে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। একদল দুর্বৃত্তরা ওই গৃহবধুর বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় মারধরসহ ব্যাপক ভাংচুর-তান্ডব চালায় তারা। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভোলাইয়াঘোনা এলাকায়। আহতরা হলেন ওই এলাকার ইসহাক মিয়ার ছেলে রশিদ আহমদ (৫৫), তার ছেলে বদিউল আলম (৩৩), মেয়ে রুমা আকতার ও উত্তর পাড়া এলাকার কালা বাঁশির ছেলে আজিম উদ্দিন ৩৩)। অপহৃত গৃহবধুর নাম সেলিনা আকতার (২৪)। তিনি বদিউল আলমের স্ত্রী বলে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় একটি মাহিন্দ্রা গাড়ি নিয়ে উত্তরপাড়ার কালাবাশির ছেলে আজিম উদ্দিন ও ভোলাইয়াঘোনা এলাকার শফিউল আলমের ছেলে শওকতের মধ্যে বনিবনা চলছিল। গত দু’মাস আগে ওই মাহিন্দ্রাটি শওকত আজিম উদ্দিনকে বিক্রির জন্য দরদাম নির্ধারন করে। দশ হাজার টাকা ক্রেতা বিক্রেতাকে আগাম দেন। পরবর্তীতে গাড়ি ক্রয় করেননি আজিম। এনিয়ে শালীসি বৈঠক হয়। গাড়ি ক্রয় না করায় সিদ্ধান্ত হয় ওই দশ হাজার টাকা গচ্ছা যাবে আজিমের। ঘটনার দিন বিকেলে শওকত, ভোলাইয়াঘোনার আশরাফ আলী সদরের উত্তরপাড়া আধা বাপের জামে মসজিদের সামনে ১ম দফা হামলা চালায় আজিমকে। এনিয়ে এদিন পেকুয়া বাজারে বৈঠক হয়। স্থানীয়রা জানায় আব্দু রশিদ পেকুয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে গ্রামীন ব্যাংক অফিস সংলগ্ন স্থানে পৌঁছলে পুর্ব থেকে ওতপেতে থাকা শওকত, আশরাফ, সোহেল, শাকের, জাকের, আরিফ, মোবারক, মোশারফসহ আরো কয়েকজন মিলে তাকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। প্রত্যক্ষদর্শী বাদশা মিয়া, আবুল কালাম, রিপু আকতার, রাশেদা বেগম, রোপিয়া বেগম, শফিউল আলম, রোকসানা বেগম জানায় শওকত ও আশরাফসহ ১০-১২জনের দুর্বৃত্তরা সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দু রশিদের বাড়িতে আক্রমন চালায়। এ সময় তারা বাড়ি ভাংচুরসহ লুটপাট চালায়। যাওয়ার সময় বদিউল আলমের স্ত্রী সেলিনা আকতারকে টানা হেচড়া করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। আব্দু রশিদের স্ত্রী রোপিয়া বেগম জানায় তারা আমার বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্নালংকার নিয়ে যায়। এখনো পুত্র বধুর খোঁজ পাইনি।

…………………………………………….

পেকুয়ায় প্রবাসীর স্থাপনা নির্মাণে বাঁধা

পেকুয়া প্রতিনিধি.

পেকুয়ায়  চাঁদার দাবিতে এক প্রবাসীর স্থাপনা নির্মাণ কাজে বাধা দিয়েছে একদল দূবৃর্ত্ত। এর জের ধরে উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের ব্যস্ততম বাণিজ্যিক এলাকা হাজীবাজারে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, গতকাল ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে টৈটংয়ের হাজীবাজারে। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা ও হাজী বাজারের ব্যবসায়ীরা জানায়, টৈটং ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকার মৃত. নুরুল ইসলামের ছেলে সৌদি প্রবাসি রাজা মিয়া হাজ¦ীবাজারে ৬ শতক জায়গা কয়েক বছর আগে ক্রয় করেন। হাজ¦ী বাড়ির আব্দুল মোনাফ ও এনায়েত আলী গং এ জায়গা বিক্রি করেছেন রাজা মিয়াকে। হাজী বাজারের মধ্য ভাগে সড়কের পশ্চিম পাশে জায়গার অবস্থান। মালিকপক্ষ খরিদা সম্পত্তিতে পাকা দোকানঘর নির্মাণ কাজ শুরু করে গত ৬ মাস আগে থেকে। ৬ শতক জায়গার মধ্যে খরিদা মালিক রাজা মিয়া ভোগ করছেন ৪ শতক। অবশিষ্ট ২ শতক জায়গা তার এখনো তিনি দখল বুঝে পাননি। ৪ শতকে দোকান নির্মাণ প্রথম ভাগে এক তৃতীয়াংশ গত ছয় মাস আগে শুরু করেন। অপরদিকে অপর অংশতে গত ১৫দিন আগে থেকে নির্মাণ কাজ অব্যহত রাখেন। অভিযোগ উঠেছে, হাজী বাড়ি এলাকার আহমদ চৌকিদারের ছেলে মো. ইউনুছ বিভিন্ন অজুহাতে প্রবাসির কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার ইউনুছ, তার স্ত্রী আনোয়রা বেগম, ছেলে মো. এনতাজুল সহ ৫/৬জন দূবৃর্ত্তরা রাজা মিয়ার জায়গায় গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন। তারা ফের টাকা দাবি করে। এনিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এসময় দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়েছে। জায়গার মালিক রাজা মিয়া মুঠোফোনে এ প্রতিবেদককে জানায়, জায়গা আমি ক্রয় করেছি মোনাফ গংদের কাছ থেকে। আমি ছয় মাস আগে থেকে দোকান নির্মাণের কাজ আরম্ভ করেছি। হঠাৎ ইউনুছ আমার কাছ থেকে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছে। গতকাল সন্ধ্যায় ইউনুছ এসে কাজ না করতে নিষেধ করে শ্রমিকদের। আমি এ বিষয়টি প্রশাসন সহ সর্বত্রে জানিয়েছি। এব্যাপারে টৈটং ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান হাজী সাহাব উদ্দিন জানায়, জায়গা অবশ্যই রাজা মিয়ার। স্বত্তের বিষয়ে বিরোধ হচ্ছে এমন মনে হচ্ছে না আমার। তারপরও বিষয়টি নিয়ে নমনীয় মনোভাব পোষন করতে আমি ইউনুছকে বলে দিয়ে। টৈটং ইউপির চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী জানায়, বিষয়টি আমাকে জানানো হয়েছে। রাজামিয়া জায়গার বৈধ মালিক। তিনি অনেকদিন ধরে এ জায়গা ভোগ করছেন।

পাঠকের মতামত: